টাঙ্গাইল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির নাম লৌহজং। এ নদীর জন্ম ও প্রবাহ টাঙ্গাইল জেলাতেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু এ নদীর প্রবাহ ধারা থেমে গিয়েছিল একেবারেই। দখল হয়ে ক্রমে ক্রমে তার অবয়ব হারিয়েছিল। এককা্লের খরস্রােতা লৌহজং নদী ছিল মৃতপ্রায় । বৃষ্টির পানিসহ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় শহরেও তৈরি হয়েছিল জলাবদ্ধতা। ফলে দেখা দিয়েছিল জনজীবনে চরম দূর্ভোগ এবং পরিবেশ বিপর্যয়।
প্রভাবশালী ভূমিদস্যুদের হাত থেকে লৌহজং যেনো কিছুতেই রক্ষা পায়নি। কন্তিু টাঙ্গাইলের প্রাক্তন জেলে প্রশাসক মাহবুব হোসেনের প্রচেষ্টায় লৌহজং দখলের হাত থেকে মুক্তি পয়েছে। লৌহজং উদ্ধারে জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দয়িছেনে টাঙ্গাইলের মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিকসহ আপামর জনতা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সকল নদী ও খাল- বিলের রক্ষণাবেক্ষণ করা ও দখলমুক্ত করতে দৃঢ়ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরই নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতে টাঙ্গাইলের সুযোগ জেলা প্রশাসক মো: মাহবুব হোসেন লৌহজং নদী উদ্ধার করার সদ্ধিান্ত নিয়ে প্রথমে তিনি টাঙ্গাইলের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদের সাথে মতবিনিময় করেন ও সর্মথন প্রত্যাশা করনে।
জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে নৌকাযোগে লৌহজং পরিদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয় লৌহজং নদী উদ্ধারের অভিযান। অভিযানে একাত্মতা ঘোষণা করে জেলা প্রশাসকের সাথে থাকেন সাংসদ জনাব মোঃ ছানোয়ার হোসেন। এ সময় টাঙ্গাইল এর পুলিশ সুপার জনাব মাহবুব আলমসহ এলাকার বভিন্নি স্তরের মানুষের স্বতঃর্স্ফূত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়। প্রাক্তন জেলা প্রশাসক জনাব মাহবুব হোসেন এতো বড় একটি অভিযান পরিচালনায় জনগনের সম্পৃক্ততা বাড়াতে শুরু করেন ক্যাম্পেইন। যুব সম্প্রদায়কে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে গঠতি হয় অনলাইন ভিত্তিক টাঙ্গাইল সিটিজেন জার্নালিস্ট গ্রুপ। ব্যাপক প্রচারনা শুরু হয় ফেসবুকসহ জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়াতে। স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায় টাঙ্গাইলবাসীর প্রাণের নদী লৌহজং আবার তার নাব্যতা ফিরে পয়েছে।