মনদীপ ঘরাই এর ডিজিটাল ডাক হাজারো মানুষের সাড়া

Image removed.

জলাবদ্ধতার কারণে যশোরের অভয়নগরের মানুষ যখন রীতিমতো বিরক্ত,  প্রশাসনের হস্তক্ষেপের আশায় থাকতে থাকতে ক্লান্ত, ঠিক তখনই এক অভিনব ডাক এলো। ফসেবুকের মাধ্যমে স্বেচ্ছাশ্রমের আহ্বান জানালেন অভয়নগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনদীপ ঘরাই। ওই ডাকে সাড়া দিয়ে উপজেলার দুটি খাল থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করতে শুক্রবার (৪ আগস্ট,২০১৭) পানিতে নেমেছেন হাজার খানেক মানুষ। এ ব্যাপারে মনদীপ ঘরাই জানান, ‘গত ৩০ আগস্ট নাম রেজিস্ট্রিশনের জন্য ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে ২শ’ তরুণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু  রেজিস্ট্রিশন করেছেন এক হাজার ২শ ৩৫ জন, এসেছেন দুই হাজারের অধিক।’

অভয়নগরের প্রায় ১৬ কি.মি. দুটো খাল পুরোটাই কচুরিপানায় ভরে থাকায় পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছিল। এটি পরষ্কিার থাকলে জলাবদ্ধতা কমে যাবে বলে জানান মনদীপ ঘরাই।

সকাল ৮টা থকেে বকিাল ৪টা। এ কয় ঘন্টাতেই বদলে যায় খালের চালচিত্র। কচুরিপানার বিরুদ্ধে সংগ্রাম সফল। মনদীপ ঘরাই নিজেই জলের মাঝে ছিলেন পুরোটা সময়। পরদিন এ কার্যক্রমে যোগ দিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য নিজে। ভাটবলিা, রাজাপুর, ওয়াপদা,পাথরঘাটা, সুন্দলী বাজার, ফুলেরাগতি, ডুমুরতলা, বেদভিটা খাল হয়েছে কচুরিপানা মুক্ত।

কয়কে বছর ধরে দেশে বজ্রপাতে মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তা প্রতিরোধে তালগাছ রোপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকার। তালগাছ বজ্রপাত টেনে নেয়। সে চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে তালের চারা রোপনের নির্দেশনা দেন। অভয়নগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনদীপ ঘরাই এ উদ্দেশ্যেই আড়াই লাখ তালের চারা রোপনের স্বপ্ন নিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এ স্ট্যাটাস দেখেই তালগাছ সংগ্রহে এগিয়ে আসে উপজেলার মানুষ। চলতে থাকে তালের বীজ সংগ্রহের মহোৎসব।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা - কর্মচারী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, পেশাজীবী সংগঠন, শ্রমজীবী সংগঠন এমনকি ব্যক্তি উদ্দোগেও সংগ্রহ হয়েছে তালের বীজ। ছাড়িয়ে যায় আড়াই লাখের লক্ষ্যমাত্রা। শেষ র্পযন্ত সংগ্রহকৃত ৪ লাখ তালবীজের মধ্যে ১৬ সেপ্টেম্বর ৩ লাখ রোপন করা হয় ও ১ লাখ রোপনের জন্য বতিরণ করা হয়। বজ্রপাত নিরোধে তালগাছের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে তালবীজ রোপনের এক অনন্য নজির স্থাপন হলো যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায়।